রাজিব আহমেদ রাসেল, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: আসামী কর্তৃক মামলার বাদিকে আদালত চত্বরে মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে শাহজাদপুর চৌকি আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে দু’বছর আগে শাহজাদপুরের কাশিপুর গ্রামের আখতার হোসেন একই গ্রামের ফটিকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মারপিট লুটপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগে শাহজাদপুর আমলী আদালতে মামলা করেছিলো।
মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই সিরাজগন্জ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মর্মে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে। আদালত স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে সোমবার রায় প্রকাশের জন্য দিন ধার্য করে।
আদালত মামলার সকল আসামিকে খালাস প্রদান করে। শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম রব্বানী এ রায় দেন।রায় প্রকাশের সময় মামলার আসামীগন আদালতে উপস্থিত ছিলো।
মামলার রায় প্রকাশের পর বাদি আখতার হোসেন বাড়ি যাওয়ার সময় মামলায় খালাস প্রাপ্ত ফটিক,রন্জু,নুরনবীসহ ১২/১৩জন তাকে ঘিরে ধরে আদালত চত্বরেই মারপিট করে।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উকিল সেরেস্তায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়সুত্রে জানায় হঠাৎ করেই একজন লোককে ১২/১৩জন লোক ঘিরে ধরে মারপিট শুরু করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উকিলের সেরেস্তায় নেওয়া হয়।
হামলার ঘটনায় আহত আখতার হোসেন জানান, আদালতে আমার মামলায় রায় হয়।রায়ে আসামিরা খালাস পেয়ে আদালত চত্বরেই আমাকে মারপিট করে।লোকজন আমাকে উদ্ধার করে।
আখতার হোসেনের আইনজীবী এ্যাড. আব্দুল আজিজ জেলহক জানান, কয়েকজন লোক আমার মক্কেলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমার সেরেস্তায় নিয়ে আসে।
মারপিটের ঘটনায় আখতার হোসেন বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত ফটিক, রন্জু,নুরনবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও বাকি দশজনের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন। সোমবার বিকেলে শাহজাদপুর আমলী আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী এ আদেশ দেন।
আদালত চত্বরে এ ধরনের ঘটনায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এফএস