ফরিদপুর প্রতিনিধি: দুদকের দুর্ণীতির মামলায় তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী জোবায়ইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে ফরিদপুরে বের হওয়া বিএনপি’র মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
বুধবার (০২ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে হামলাকারীরা শহরের কাঠপট্টি এলাকায় ফরিদ শাহ্ সড়কের মনা প্লাজায় অবস্থিত বিএনপির অফিসে হামলা করে ভাঙচুর করে।
বিকেল তিনটার দিতে তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর নামে দায়ের করা মামলায় রায়ের খবর পেয়ে দলীয় অফিসের নিচ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ফরিদ শাহ্ সড়ক হয়ে চক বাজারের মোড় হয়ে থানা রোড ধরে জনতা ব্যাংকের মোড়ে আসে।
মিছিল শেষে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া জনতা ব্যাংকের মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক আইল্যান্ডের উপর দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখা শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের নিলটুলী এলাকা থেকে মুজিব সড়ক হয়ে কমপক্ষে ৫০ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে বিএনপির পথসভায় হামলা চালায়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দ্রুত বিভিন্ন পথ দিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সদলবলে গিয়ে কাঠপট্টি এলাকায় জেলা বিএনপির অফিসে হামলা চালায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই শহরের থানার মোড়ে একত্রিত হয়ে মিছিল করতে করতে প্রেসক্লাবের দিকে ফিরে যায় হামলাকারীরা।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ. কে. কিবরিয়া স্বপন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তিনি বলেন, ওই সময় এলাকায় পুলিশ দাঁড়িয়ে তাকলেও তারা এ হামলা ঠেকাতে কোন ভূমিকা রাখেনি। তিনি বলেন, তারা দ্রুত সরে যাওয়ায় আহত হওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, শান্তিপূর্ণ কোন কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি ছাত্রলীগ। আজ যে হামলার কথা বলা হচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই। এজাতীয় কোন ঘটনাই আজ ঘটেনি।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম,এ জলিল বলেন, বিএনপিকে অনুরোধ করা হয়েছিল দলীয় অফিসের সামনে তাদের কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা তা না করে মিছিল করে জনতা ব্যাংকের মোড় এলাকায় আসে। ওই সময় ছাত্রলীগের একটি মিছিল এসে পড়েছিল। তবে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির দলীয় অফিসে হামলার ব্যাপারে ওসি বলেন, অমি শুনেছি দলীয় অফিসে না অফিসের কাছে একটি দোকানে হামলা জাতীয় সামান্য ঘটনা ঘটেছিল।
এফএস