গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আজমত উল্লাহ খান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে তাকে প্রতিপক্ষ মনে করছেন না বলে জানিয়েছেন আজমত উল্লাহ খান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন আজমত উল্লাহ খান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘উনি (জাহাঙ্গীর আলম) নমিনেশন পেপার ক্রয় করেছেন। এটা আমি পত্রিকায় দেখেছি এবং ওনার মা-ও খরিদ করেছেন। উনি যেহেতু আওয়ামী লীগের কাছে মনোনয়ন চেয়েছেন, আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতি যদি ওনার আস্থা থাকে, দেশের উন্নতির প্রতি যদি উনার আস্থা থাকে, তাহলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে উনি ওনার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’
জাহাঙ্গীরকে প্রতিপক্ষ মনে করছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লাহ বলেন, ‘আমার শক্তি জনগণ। আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। নৌকার পক্ষে জনতা আছে, তাই আমি নৌকার প্রতিপক্ষ কাউকে মনে করি না।’
বুধবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাহাঙ্গীর আলম। তার মা জায়েদা খাতুনের নামেও মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। আজ দুটি মনোনয়নপত্রই জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আজমত উল্লাহ খান ছিলেন টঙ্গী পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত মেয়র। পরে টঙ্গী পৌরসভা ও গাজীপুর পৌরসভা নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠনে তার অবদানও ছিল উল্লেখ করার মতো। ২০১৩ সালে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলেও দল থেকে তাকে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তবে ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর কাছে ধরাশয়ী হন তিনি।
এ ব্যর্থতায় পরেরবার আজমত উল্লাহ খানকে মনোনয়ন দেয়নি দল, দেওয়া হয়েছিল জাহাঙ্গীর আলমকে। এরপরও থেমে থাকেনি তিনি। নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজনীতির মাঠে ছিলেন সক্রিয়।
হঠাৎ করে জাহাঙ্গীর আলম বেকায়দায় পড়লে ফের আলোচনায় আসেন আজমত উল্লাহ খান। অবশেষ নানা নাটকিয়তার পর গাজীপুর সিটির তৃতীয় নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এফএস