মানুষের জন্য ডেস্ক:- সময়ের কন্ঠস্বর ডেস্ক:-মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না দিনের অনেকটা সময়। অনেক বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে সবদিক। ঠাণ্ডার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে মানুষকে তবুও বাইরে আসতে হয় জীবিকার প্রয়োজনে। দিনের শুরুতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম ও নওগাঁবাসীরা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকায় সর্বস্তরের মানুষের জনজীবন স্থবির হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।দিনের বেলায়ও হেডলাইটের আলোয় চলছে যানবাহন।
নওগাঁ বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহ চলছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারদিক। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এই শৈত্যপ্রবাহ আরও বেশ কিছু দিন থাকতে পারে আর তাপমাত্রা আরও নিচে নামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তীব্র কুয়াশা আর শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডার প্রভাবে পৌষের শুরুতেই কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার জনপদ।
শুক্রবার ভোর থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশার কারণে জেলার ট্রেন ও নৌ চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। দেরি করে ছাড়ছে এসব যানবাহন। শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা।
এ অবস্থায় চলতি মাসের শেষের কয়েকটি দিন ও বছরের শুরুতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের শেষের দিকে ও বছরের শুরুতে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি তীব্রতায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে এ তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।