বৃষ্টি কিংবা কোন বিভ্রাটের কারণে ওভার কমেনি। ৫০ ওভারের ম্যাচ। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৯১ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের লক্ষ্য ওই ৫০ ওভারেই ছিল ২৯২। কিন্তু ম্যাচটা তারা ৩৭.১ ওভার ধরেই খেলেছে। কারণ সুপার ফোরে যেতে হলে ওই ওভারেই মধ্যেই জিততে হতো তাদের।
মাছের চোখে তীর মারার মতো আফগান ব্যাটাররা ‘কার্টেল ওভার’ ধরে ওই রানে চোখ রেখেছিল। লক্ষ্য ধরে সাহসী ব্যাটিং করেছে তারা। ছয়ে নামা মোহাম্মদ নবীর ৩২ বলে ছয়টি চার ও পাঁচ ছক্কায় ৬৫ রানের সঙ্গে হাতে এনে দেওয়া মোমেন্টাম ধরে রেখে ব্যাটিং করেছে।
রশিদ খান এক প্রান্ত দিয়ে লড়াই করেছেন। তিনি ১৬ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু ৩৭.১ ওভারের ওই বলটি খেলতে হয় মুজিব উরের। দলের রান তখন ৮ উইকেটে ২৮৯ রান। শেষ পর্যন্ত ওই রানে অলআউট হয়ে ২ রানে হেরেছে রশিদ খানরা। দুই হারে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে।
মঙ্গলবার লাহোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে দারুণ মোমেন্টাম পায় তারা। ওপেনার পাথুন নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে ৬৩ রানের জুটি দেন। দিমুথ ফিরে যান ৩২ রান করে। অন্য ওপেনার নিশাঙ্কা ৪১ রান করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেন কুশল মেন্ডিস। তার ৮৪ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ছয়টি চার ও তিন ছক্কায়।
শ্রীলঙ্কার পরের ব্যাটাররা রান পাননি। চারে নামা সামারাবিক্রমা ব্যর্থ হন। ছয়ে নামা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা কিংবা সাতে নামা অধিনায়ক দাশুন শানাকা ব্যাট হাতে হতাশ করেন। পাঁচে নামা আশালঙ্কার ৪৩ বলে ৩৬ রান করেন। লোয়ারে দুনিথ ওয়াল্লালাগে ৩৩ ও মহেশ থিকসানা ২৪ বলে ২৮ রান করলে তিনশ’ ছোঁয়া পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে ব্যাট তুলে খেলতে গিয়ে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৪) ও ইব্রাহিম জাদরান (৭) ব্যর্থ হন। তিনে নেমে গুলবাদিন নাঈব ঝড়ো শুরু করে ১৬ বলে ২২ রান করে ফিরে যান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শাহেদি ভালো খেলেন। তারা ৭১ রান যোগ করেন। রহমত খেলেন ৪০ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে শাহেদিকে নিয়ে ম্যাচের গতি পাল্টে দেন মোহাম্মদ নবী। তারা ৮০ রান যোগ করে ৩৭.১ ওভারের মধ্যেই জয়ের আশা তৈরি করেন। নবীর পর শাহেদী ৫৯ রান করে ফিরলে আশায় ধাক্কা লাগে আফগানিস্তানের। পরে রশিদ খান শেষ পর্যন্ত আশার পালে হাওয়া দিয়ে গেছেন।
হারের মুখ থেকে জয়ে শ্রীলঙ্কার পেসার কাসুন রাজিথা ১০ ওভারে ৭৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। শেষ দিকে দুনিথ ও ধনাঞ্জয়া দুটি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। এর আগে আফগানদের হয়ে গুলবাদিন ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। রশিদ খান নেন দুই উইকেট।
এফএস