মাদ্রাসা ছাত্রীদের মলমূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

0
144

বরগুনার আমতলীতে মুঠোফোনে ছবি তোলার অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মলমূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে আমতলী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসায়। এ ঘটনায় অভিভাবক আব্দুল খালেক আকন অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাসলিমা বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় জামিলা, জান্নাতুল ফেরদৌসী, মারিয়া ইসলাম, রুবাইয়া, সাদিয়া, মারহামা, মারুফা, নুসাইবা নাজরানা বিভাগে লেখাপড়া করে। গত শুক্রবার রাতে মাদ্রাসার শিক্ষিকা তাসলিমা বেগমের মেয়ে নুসরাত অভিযোগ তোলে- জান্নাতুল ফেরদৌসি নামে এক ছাত্রী মোবাইলে তার ছবি তুলেছে। ছবি তোলার অভিযোগে ওই রাতেই ১০ ছাত্রীকে নিয়ে সালিশে বসেন শিক্ষিকা তাসলিমা। এক পর্যায়ে শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম, তার স্বামী আব্দুর রশিদ, ছেলে তাইয়েবা ও মেয়ে নুসরাত ১০ ছাত্রীকে মারধর শেষে মলমূত্র, ড্রেনের পচা পানি, হাঁসের মল বালতিতে মিশিয়ে জোরপূর্বক খাইয়ে দেয়। এতে ১০ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শনিবার সকালে তাদের মাদ্রাসা থেকে ভর্তি বাতিল করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ছাত্রীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে এ ঘটনা জানায়। সোমবার অসুস্থ তিন ছাত্রী জামিলা, জান্নাতুল ফেরদৌসী ও মারিয়া ইসলামকে স্বজনরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিভাবক আব্দুল খালেক আকন শিক্ষিকা তাসলিমাসহ চারজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

হাসপাতালে ভর্তি জামিলা, জান্নাতুল ফেরদৌসী ও মারিয়া ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম, তার স্বামী আব্দুর রশিদ, মেয়ে নুসরাত ও ছেলে তাইয়েবা মোবাইলে ছবি তোলার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের মারধর করেছে এবং মলমূত্র, ড্রেনের পচা পানি ও হাঁসের মল বালতিতে মিশিয়ে জোরপূর্বক খাইয়ে দিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

অভিভাবক খালেক আকন ও সেলিম মোল্লা বলেন, শিশুদের সঙ্গে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুর রশিদ ছাত্রীদের মলমূত্র খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, মোবাইলে আমার মেয়ে নুসরাতের ছবি তোলায় বিচার করেছি এবং ওই ছাত্রীদের মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here