রোজার মাস চলছে। ঈদের বাকি আর ২/৩ দিন। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সব অফিস আদালত। প্রচন্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। রোজাদারেরা প্রচন্ড গরমে চরম কষ্টে থাকলেও ২/৩ ঘন্টা পর পর কয়েকবার যাওয়া আসার মধ্য দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট মিনিট বিদ্যুৎ মিলছে রোজাদাদের কপালে। আর এ ভয়াবহ লোডশেডিং দিচ্ছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুত সমিতি।
ভোর থেকে শুরু করে এ লোডশেডিং চলছে মধ্যরাত এমনকি শেষ রাত পযন্ত। ইফতার,তারাবি ও সেহেরি একসময়ও বিদ্যুৎ মিলছে না কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ লাইনে।
ভিতরবন্দ বাজারের ব্যবসায়ী টেপু মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ এখন সোনার হরিণ। এই প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ কখন আসে কখন যায় বলতে পারবো না। ঈদের বাজারের ব্যবসা ঠিকমতো করতে পারছি না।
একই এলাকার জলিল মিয়া জানান, প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় রোজা নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হয়।
ঈদের আগে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম বলেন, এটা জাতীয় সমস্যা। চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি তাই এমনটা হচ্ছে । বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করেন।
অথচ বুধবার রাতে নতুন রেকর্ড হয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের এক বার্তায় বলা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, এদিন রাত ৯টায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে, যা এখন পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড।
মঙ্গলবার রাতে ১৫ হাজার ৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। তার আগের দিন সোমবার বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট। এই দুদিনেই উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল রেকর্ড। এবার রেকর্ড গড়াল টানা তৃতীয় দিনে।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য বলছে, গত বছরের ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছিল।
তবে ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বলছে যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে প্রয়োজনে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
এফএস