ভারতের হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি, ভূমিধস এবং বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১ জন। পাঞ্জাবেও তুমুল বৃষ্টিপাতে বন্যা দেখা দিয়েছে বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হিমাচল ও উত্তরাখন্ডে রাজ্যে আরও বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
হিমাচলের মুখ্যসচিব ওঙ্কারচাঁদ শর্মা বলেন, ‘রাজ্যে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন এখনও নিখোঁজ। গত রোববার থেকে হিমাচলে তুমুল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শিমলাসহ রাজ্যের বেশির ভাগ জেলায় ভূমিধস হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, হিমাচলের উনা, হামিরপুর বিলাসপুর, কাংড়া, মান্ডি, শিমলা, সোলান এবং সিরমুরে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
শিমলার আবহাওয়া বিভাগ জানায়, এ বছর জুলাইয়ে হিমাচলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
উত্তরাখন্ডের নৈতিতাল, চম্পাবত, উধম সিংহ নগর, দেহরাদুন, টিহরী, পৌড়ি এবং আলমোড়া জেলায় আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সর্তকবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দেহরাদুনের বিকাশনগর তহসিলের লাঙ্ঘা জাখান গ্রামে ১৫টি বাড়ি ভূমিধসে চাপা পড়ে। আগে থেকেই বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়ায় বড় বিপদ এড়ানো গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এ ছাড়া ভূমিধসের কারণে বন্ধ পৌড়ী-কোটদ্বার-দুগাড্ডা জাতীয় সড়ক। পিপলকোটির কাছে হৃষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের বিশাল অংশ আকস্মিক বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ডের পাশাপাশি পাঞ্জাব রাজ্যও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উত্তর ভারতের এ রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর এবং রূপনগরসহ বেশ কিছু জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যে পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় উদ্ধার এবং ত্রাণকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
এফএস