দেশের দরিদ্রতম জেলা কুড়িগ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩১ বছর আগে বিসিক শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠা হলেও এখনও গড়ে উঠেনি কর্মমুখী কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান। উদ্দোক্তা তৈরী না হওয়ায় হস্ত ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ ঘটেনি এখানে। শুধুমাত্র একটি জুট প্রসেসিং মিলে ৩শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হলেও বাকীগুলোতে নেই তেমন কোন কাজের সুযোগ।
শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে জেলার একমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান বিসিক শিল্প নগরী। এ নগরীতে ২০ একর জমির উপর ৪১টি ইউনিটের বিপরীতে ১৩৩ টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসকল ইউনিটে কর্মমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার শর্ত থাকলেও তার অধিকাংশই ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যবসার কাজে। ফলে জেলার অর্থনীতিতে তেমন ভুমিকা রাখতে পারছে না এ শিল্প নগরী।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো: আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতি বছর শিল্প নগরীতে সার্ভিস চার্জ বাড়ানো হলেও রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে না।
শ্রমিক নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, বহুমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠায় এখানে কাজের সুযোগ হয়েছে মাত্র ৫ শতাধিক শ্রমিকের। মিল চাতালের মতো প্রতিষ্ঠান থাকায় বছরের বেশীর সময় হাতে কাজ থাকে না তাদেরও।
স্থানীয় উদ্দোক্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা নতুন নতুন অনেক কিছু করছে চাই। কিন্তু কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে আমাদের সে স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যায়।
কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্স সভাপতি বলেন, সহজ শর্তে ব্যাংক লোন ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা পেলে অনেক উদ্যোক্তাই এগিয়ে আসবে।
বিসিক শিল্প নগরী, কুড়িগ্রাম এর উপ- ব্যবস্থাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুর্বের অবস্থা কাটিয়ে নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তা তৈরী মাধ্যমে এ শিল্প নগরীকে কর্মমুখী করে তোলা হবে।
দেশের পিছিয়ে পড়া এ জেলার একমাত্র শিল্প নগরীতে ক্ষুদ্র, কুটির ও হস্ত শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা এখানকার মানুষের।
এফএস