Tuesday, November 28, 2023
Homeস্পটলাইটপুরোপুরি নেভেনি আগুন, রাস্তায় জমা পানি দিয়ে চলছে আগুন নেভানোর চেষ্টা!

পুরোপুরি নেভেনি আগুন, রাস্তায় জমা পানি দিয়ে চলছে আগুন নেভানোর চেষ্টা!

বঙ্গবাজার ও তার আশপাশে লাগা আগুন ৮ ঘণ্টা আগে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে দাবি করে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু ইফতারের পর হঠাৎ করে জ্বলে ওঠে। প্রায় ৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নেভানো সম্ভব হয়নি। সড়কে জমে থাকা পানি দিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে স্থানীয়রা। অন্যদিকে আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবাজার মার্কেটের যে অঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে সেই অঞ্চলে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে স্থানীয়রা কাজ করছে। তারা বঙ্গবাজারের মূল গেট থেকে এনেস্ককো মার্কেটের কোনা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ জনের লাইন তৈরি করে। এ লাইনে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই অংশগ্রহণ করে। তারা পানির জার ভেঙে অর্ধেক করে তা দিয়ে পানি তুলে সিরিয়ালে আগুনের সামনে পর্যন্ত পাঠাচ্ছে। সামনে থাকা ব্যক্তি সেই পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

এ ছাড়া কয়েকজনকে ফায়ার সার্ভিসের পাইপ ধরে পানি দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ফায়ার সার্ভিস অনেকক্ষণ ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা পেরে উঠছে না। তাই আমরা আমাদের সম্পদ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছি। দেখি কিছুটা সম্পদ বাঁচাতে পারি কি না।

শুধু বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা নয়, আশপাশের ব্যবসায়ীরাও যোগ দিয়েছেন আগুন নেভানোর কাজে। চকবাজার থেকে এসেছে ওমর ফারুক। কালের কণ্ঠকে ওমর ফারুক বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করছি। মানুষের জন্য কাজ করতে পারলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।’

তবে সন্ধ্যার পর কমতে শুরু করেছে উৎসুক জনতার ভিড়। পুলিশ ও বিজিবির পক্ষ থেকে বার বার ধাওয়া দিয়ে তাদের মূল জায়গা দিয়ে সরিয়ে দেয়। ফলে তারা বাধ্য হয়ে সরে যায়।

এদিকে উদ্ধারকৃত পণ্য স্থানান্তরিত করার জন্য শ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, একদিকে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না অন্যদিকে ভ্যান ও পিকপের ভাড়া দিগুণ থেকে তিনগুণ চাচ্ছে চালকরা।

জমির ফ্যাশনের মালিক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মালামাল নিয়ে উত্তরা যাব। কিন্তু পিকআপ পাচ্ছি না। এখানকার পিকআপ আলারা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া চাচ্ছে।

একই কথা জানান আরেক ব্যবসায়ী হাবিব রহমান। তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে গেছে। কিছু মালামাল বিকেলের মধ্যে বের করতে পেরেছি। কিন্তু এখন ভ্যানে তোলার লোক পাচ্ছি না। তাই আমি ভ্যানচালককে সঙ্গে নিয়ে তুলছি’

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এনেস্ককো টাওয়ার, মহাগর মার্কেটের পিছনের অংশ ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পিছনের দেয়ালের আগে আগুন জ্বলছে। এ আগুন নেভানো ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় ও বিভিন্ন বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।

এফএস

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments