নামাজের আরবি প্রতিশব্দ হলো সালাত। সালাতের শাব্দিক অর্থ দোয়া। পারিভাষিক অর্থে সালাত এমন ইবাদত, যা বিশেষ কিছু কথা ও কাজের সমষ্টি। যা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে শুরু হয়, ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে শেষ হয়।
সালাতের কথা পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে এসেছে। এক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সালাত কায়েম করো ও জাকাত প্রদান করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০৩)
একাধিক রহস্যকে সামনে রেখে সালাত প্রবর্তন করা হয়েছে। যেমন—
১। মানুষ আল্লাহর বান্দা বা দাস। আর নামাদের মাধ্যমে দাসত্বের সর্বোত্তম প্রকাশ ঘটে। নামাজের মাধ্যমে মানুষ উবুদিয়াত বা দাসত্বের অনুভূতি লাভ করে এবং আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।
২। এ সালাত মানুষকে গাফিলতি থেকে রক্ষা করে। তাঁর রবের কথা স্মরণে রাখে। তার প্রতিষ্ঠাকারীকে আল্লাহর সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনকারী ও সর্বদা স্মরণকারী করে রাখে।
৩। সালাত তার আদায়কারীকে নির্লজ্জ ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে আর তা বান্দাকে পাপাচার থেকে পবিত্র করার মাধ্যম। জাবের ইবনে আবদিল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উপমা প্রবহমান নদীর মতো, যা তোমাদের কারো দরজার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে, তথায় সে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে। (সহিহ মুসলিম)
৪। সালাত অন্তরের তৃপ্তি ও প্রশান্তিদায়ক। এ জন্যই তা রাসুল (সা.)-এর চক্ষু সিক্তকারী ছিল। নবী (সা.) যখন কোনো কঠিন কাজের সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি সালাত আদায়ের দিকে ছুটে যেতেন। এমনকি তিনি বলতে থাকতেন, ‘হে বেলাল! সালাতের দ্বারা তুমি আমাকে শান্তি দাও।’ (মুসনাদে আহমাদ)
এফএস