Wednesday, November 29, 2023
Homeস্পটলাইটদুই বছর পর এবার বছরের প্রথম দিন বই উৎসব

দুই বছর পর এবার বছরের প্রথম দিন বই উৎসব

মানুষের জন্য ডেস্ক:- প্রাণঘাতী করোনার মহামারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার আর সে প্রতিবন্ধকতা নেই।

আগামী ১ জানুয়ারি সারাদেশে সাড়ম্বরেই উৎসব করবে সরকার। আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে উৎসব করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছে।

বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই বিতরণের জন্য ১ জানুয়ারি ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস- ২০২৩’ উদযাপন করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০১৩’ অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু, সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মাধ্যমিকের কেন্দ্রীয় বই উৎসব হবে গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে।

জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো এবার আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থীকে এক সেট করে বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন তিনি।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, পহেলা জানুয়ারি রোববার আড়ম্বরপূর্ণভাবে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে। করোনার কারণে যেহেতু গত দুবছর উৎসব হয়নি, এ বছর আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলায় জানিয়ে দিয়েছি আড়ম্বরপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে বই দেওয়ার জন্য। আমরা বেশিরভাগ বই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

এনসিটিবি জানায়, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিজ নিজ জেলায় এ উৎসব পালন করতে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। এর আগের দিন ৩১ ডিসেম্বর সকালে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে চার কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে এই স্তরে নয় কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই ছাপা হচ্ছে দুই লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments