একাত্তরে অপরাধের জন্য সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করতে প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু আহমেদ জমাদার।
প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি পেশ করে তিনি বলেছেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে বলা হয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন, অপরাধী সংগঠন। তাদের বিচারের জন্য আইনের সংশোধনী দরকার।
‘কী সাজা হবে, সেটা কেন হচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহলে আপনি জানুন। আমরা বিচার করতে চাই। কী হবে বিচার করলে। হত্যা করবে? হত্যার বিষয়টি জেনেই যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমি এটার বিচার করতে চাই।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি করেন।
বিচারক মো. আবু আহমেদ জমাদার প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘দাখিলকৃত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিচার হচ্ছে না কেন? কেন হল না? কেন এত শঙ্কা? গতকাল রাত ১২টার সময় আমার দুই ছেলে চলে যাচ্ছে। বললাম, কোথায় যাও? বললো, পিজি হাসপাতালে যাচ্ছি।
আমি বললাম, কেন? বললো, এরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে পারে, আমাদের ম্যাসেজ দিছে তাড়াতাড়ি সেখানে যেতে। বললাম, কী দাঙ্গা? তারা বললো- দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছে। এই জন্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরে রাতেই ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়। কেন? এই শঙ্কা কেন আসবে এই দেশে? যে দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সেখানে কেন এই ৫২ বছর পর শঙ্কা আসবে? এরা কি তাহলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চাইতেও বেশি ক্ষমতাধর? আমার তো মনে হয় তাই।
‘আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন মানুষ মারা গেছে। তার জন্য, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী আমি জানি না। আল্লামা নামধারী। সে কি এতই জ্ঞানী ছিল বাংলাদেশে? তাকে পাহারা দেয়ার জন্য হাজার হাজার পুলিশ সারা রাত জাগছে! ভোরবেলা পিরোজপুরে নিয়ে গেছে। ম্যাসেজ আছে, আমার মোবাইলে আছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সাহস করতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘কমিশন হতে হবে। কমিশনের রিপোর্ট হতে হবে, জাতির কাছে সেই রিপোর্ট থাকবে। ওই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচার হতে হবে।
এফএস