Tuesday, November 28, 2023
Homeস্পটলাইটখালেদা জিয়ার বাসভবনের সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ

খালেদা জিয়ার বাসভবনের সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ

মানুষের জন্য ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনের সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাত ১০টার দিকে এই চেকপোস্ট বসানো হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ব্যারিকেড বসানো হয়েছে সড়কের দুই পাশেই। বেশকিছু পুলিশ সদস্যও সেখানে রয়েছেন।

হঠাৎ কেন এ তল্লাশিচৌকি, সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তল্লাশিচৌকিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা কিছু বলতে রাজি হননি।

এদিকে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ‘ব্লক রেইড’ শুরু করেছে। এর মধ্যে বনানীর কাকলী এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আবদুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বনানীর কাকলী এলাকায় জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছেন, এমন সন্দেহে পুলিশের ‘ব্লক রেইড’ চলছে। রাত সাড়ে ১০টায় দেখা গেছে, বিমানবন্দর সড়কের কাকলী এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে দাবি দলটির। রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে, নয়াপল্টনের সমাবেশে খালেদা জিয়া উপস্থিত হতে পারেন।

তবে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সমাবেশে খালেদা জিয়ার উপস্থিত থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ধরনের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনাও তারা নেননি। তাছাড়া খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। শর্ত সাপেক্ষে জামিনে থাকলেও এখনো তিনি মুক্ত নন।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর পরিবারের আবেদনে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। পরবর্তীতে তার মুক্তির মেয়াদ একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ফিরোজায় রয়েছেন। তবে করোনাসহ অসুস্থতার কারণে কয়েকবার বারিধারার এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। গত জুনে খালেদা জিয়ার হার্টে একটি রিং পরানো হয়। বর্তমানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ফিরোজায় থেকে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামানের স্বাক্ষর করা চিঠিতে ১ ডিসেম্বর পুলিশের বিশেষ অভিযানের কথা জানানো হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা, মহান বিজয় দিবস, খ্রিষ্টানদের বড়দিন ও ইংরেজি বর্ষবরণ (থার্টি ফার্স্ট নাইট) উদ্‌যাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments